শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ১ জন নিহত ও ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। বুধবার ২ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে কালারমারছড়া নুনাছড়ি বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়।
এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারও অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করেছেন এলাকাবাসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহেশখালী কালামারছড়া ইউনিয়নে দু’টি বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে কালারমারছড়া নুনাছড়ি বাজারে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়।
এক পর্যায়ে স্থানীয় খলিল বাহিনীর সদস্য মাহমুদুল্লাহ, বদাইয়া, শাহজাহান, শাহাব উদ্দিন, জয়নাল, রফিক, এরফান, আমান উল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন, ওসমান ও নুনু’র নের্তৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অপর পক্ষের উত্তর ঝাপুয়া এলাকার আক্তার হোসাইনের ছেলে রিদুয়ান (২৫) কে উপুর্যপরি ৩ টি গুলি ছুড়ে ও পরে ধারালো কিরিছ দিয়ে জবাই করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা ।
এঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিরা কালারমারছড়ার তারেক বাহিনীর লোকজন।
আহত ১০ জনের মধ্যে নুনাছড়ি এলাকার ইসলামের ছেলে রমজান আলীর অবস্থা আশংকা জনক। অপর আহতের নাম রির্পোট লিখা কালীন সময়ে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিকের মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পরেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে মহেশখালী থানার ওসি ((তদন্ত) নাজমুল জানান, ঘটার সংবাদ শোনার সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেছি।
এ ব্যাপারে কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মির কাশিম চৌধুরী জানান, নিহত রিদুয়ান (২৫) স্থানীয় তারেক বাহিনীর সদস্য । সে প্রায় সময় এলাকায় একটি গ্রুপ নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টার সংবাদ শুনেছি । আর আমি পুরোপুরি বিষয়টি পরে জানাব।
পাঠকের মতামত: